সঙ্গীত নাটক আকাদেমির আর্থিক সহায়তায় অশোকনগর শহীদ সদনে গত ৩ জুলাই মহেশ নাটকটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখলাম মহেশকে ‘ কুরবান ‘ হতে। আজ্ঞে হ্যাঁ গল্পের পাতা থেকে মহেশ চলে এলো চোখের সামনে, এক্কেবারে মঞ্চে! ছোটবেলার পাঠ্য বইয়ের পাতায় প্রথম মহেশের সঙ্গে পরিচয়। মহেশের গল্প জানা হলেও মহেশ কিংবা গফুরের সঙ্গে কল্পনা ছাড়া কোথাও আর দেখা মেলেনি ।
নাটকের মূল চরিত্র মহেশ এক অনন্য রূপে দর্শকের সামনে উপস্থিত হয়েছে ঠাকুরনগর প্রতিধ্বনির প্রযোজনায়।
এখানে ছোটবেলার মহেশ এবং মহেশের বড় বেলা, সব মিলিয়ে আমিনার সঙ্গে মহেশের সাযুজ্য এক অন্য মাত্রা রচনা করে।
গফুরের পুত্ররূপ যে মহেশকে আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনীতে পেয়েছি তা অপূর্ব রূপে মঞ্চে দেখা গেছে নির্দেশক ভাস্কর মুখার্জির শিল্প নৈপুণ্যে।
গফুর বেদনা, আনন্দ এইভাবে হয়তো সুমিত কুমার রায়ের মতো অভিনেতাই একমাত্র ফুটিয়ে তুলতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। আর কাজটা যে কতটা কঠিন সেটা সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না।
এবার আসি মহেশের কথায়। আমি এই প্রথম দেখলাম একটা pupet এর মঞ্চে এন্ট্রিতে হাততালি দিচ্ছে দর্শক। তাহলে বোঝা যাচ্ছে কতটা নিখুঁত! একটা সময়ের পর আপনার মনে হবে এ যেন আসল রক্ত মাংসের মহেশ ।
হ্যাঁ, এতটাই নিখুঁত ।
সার্বিকভাবে প্রতিটি দৃশ্যপট দর্শকের সামনে এক অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করেছে।
সর্বোপরি বলা যায়, নাটকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান এক রূপরেখার মধ্যে দিয়ে এবং অতি সুন্দর কর্মদক্ষতা ও নৈপুণ্যের মধ্যে দিয়ে নির্দেশক নাটকটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
হল থেকে বেরোনোর পরও নাটকের রেস বহন করেছে দর্শক, মন খারাপের এক বোঝা বহন করে চলেছে। যা নাট্যকার ও নির্দেশকের নৈপুণ্য বলা যায়।
সব শেষে বলি, মহেশ চরিত্রে যিনি বা যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁদের মধ্য থেকে নৈপুণ্য বের করে আনতে সফল হয়েছেন নির্দেশক। রিমিল আর অক্য তো এমনিতেই খুব ভালো আরো ভালো কাজ করবে আগামীদিনে এই আশা রাখছি। প্রথমবার মঞ্চে কার্তিককে দেখলাম খুব ভালো লেগেছে। পাশাপাশি সুশান্ত, গৌরাঙ্গ, সন্তুু, অরূপ, নয়ন, জয়দেব, অর্নব, সৌম্যজিত, অভ্যুদয়, সুরজিতদের সংযোজন অসাধারণ।
গফুর চরিত্রটির মেকআপ এর বিষয়ে যদি নির্দেশক একটু সজাগ থাকেন তাহলে নাটকের মান আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। এছাড়া মহেশের গঠনগত দিক থেকে শিল্প প্রয়োগ অত্যন্ত সুন্দর হলেও মহেশের নধর দেহ তথাকথিত মহেশ এর সঙ্গে কিছুটা পার্থক্য রচনা করেছে যা একটু চোখে লাগার মত, দীর্ঘদিন না খেতে পাওয়া মহেশের চেহারায় যদি একটু রোগাটে গড়ন আনা যায় তাহলে ভালো হয়। খুব কম নাটক দেখেছি যেটা সব দিক থেকেই ভালো লেগেছে । যেখানে সব বিভাগে যেমন আলো ,আবহ , মঞ্চ, অভিনয় ও নির্দেশনা সবটাই সুন্দর ও যথাযথ। এই প্রথম ভাস্কর মুখার্জির নির্দেশনায় কোনো নাটক দেখলাম।
যাই হোক এগুলি কেবলমাত্র নিজের উপলব্ধি থেকেই বলা।
ভীষণ ভালো
ভীষণ ভালো
মহেশ ই কুরবান হয়। সব সমাজেই। সব ক্ষেত্রেই। এত ব্যস্ত মানুষ মনোজ স্যার তবু তিনি সময় করে কলম ধরেছেন অমল আলো তে এ। ধন্যবাদ।
অসীম ভাই ,সংযোজন করা একটু ভুল আছে।
ভাস্কর এর নির্দেশনায় আমি নিজেই দুটো নাটক করেছি….
“জাতা বুড়ির কুয়ো” ও ” সিদ্ধিদাতা”। দত্তপুকুর দৃষ্টির ব্যবস্থাপনায়।
তা ছাড়া এর আগে, ওর নির্দেশিত আরো কয়েকটি নাটক দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
মহেশ আমি করিয়েছিলাম। শিলিগুড়ি ঋত্বিককে। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির কর্মশালায়। আপনাদের নাট্য দ্যাখার ইচ্ছে রইল।
অসাধারন ❤️💜
ঠাকুরনগর প্রতিধ্বনি সংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ডক্টর মনোজ ঘোষ, ‘অমল আলো জার্নাল’, অগণিত পাঠক বর্গ ও ‘মহেশ’ নাট্যের প্রিয় দর্শকবৃন্দকে অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা থিয়েটারের পাশে থাকুন থিয়েটারের জয় হোক জয় হোক মানবতার
ধন্যবাদ সুশান্তদা।
এভাবেই পাশে থাকবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ডক্টর মনোজ ঘোষ এবং অমল আলো জার্নাল। অশোকনগর নাট্যমুখ ও তাদের সমস্ত নাট্যকর্মীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন নাট্য বন্ধুরা।
খুব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
ড. মনোজ ঘোষ , প্রধান শিক্ষক,অশোকনগর বিদ্যাসাগর বানী ভবন মহাশয়ের মহেশ নাটক নিয়ে প্রতিক্রিয়া খুব ভালো লাগলো।যথাযথ মুল্যায়ন করেছেন এবং যে খামতি রয়েছে তাও তুলে ধরেছেন। আপনার এই প্রতিক্রিয়া আমাদের আরো উৎসাহিত করবে এবং সামনে এগোনোর পথ দেখাবে। আপনাকে আমাদের শ্রদ্ধা জানাই।
May I simply just say what a relief to find someone who truly understands what they are discussing on the web. You definitely understand how to bring a problem to light and make it important. More and more people ought to check this out and understand this side of your story. Its surprising you arent more popular because you definitely have the gift.
❤
Good post. I learn something new and challenging on sites I stumbleupon on a daily basis. Its always helpful to read through content from other authors and practice a little something from other web sites.