বিজয়কুমার দাস
দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় যখন গান্ধর্বী এসেছিল তখন বয়স সবে দশ। আসলে তাদের পরিবার আগে থাকত দুর্গাপুরেই। এখন সপরিবারে কলকাতায়। স্কুল কলেজের শিক্ষালাভ এখানে। বি ডি এম ইন্টারন্যাশনালে প্রথমে স্কুলশিক্ষা তারপর একাদশ – দ্বাদশের পাঠ দিল্লি পাবলিক স্কুলে, বাণিজ্য বিভাগে। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জে ডি বিড়লা ইন্সটিটিউটে বিবিএ। কলকাতা আই এম আই থেকেই এম বি এ পড়তে আসা। বিষয় ফিন্যান্স এবং বিজনেস আনালাইটিক্স।
আমি গান্ধর্বী খাটুয়ার কথা বলছি। আমাকে ভীষণ অবাক করেছে যে এইরকম একটা শিক্ষাজীবনের সঙ্গে যুক্ত থেকেও গান্ধর্বী থিয়েটারে নিবেদিতপ্রাণ! পরে অবশ্য জানলাম তার পরিবারের সবাই থিয়েটারের সাথে যুক্ত। বাবা সিতাংশু খাটুয়া পেশায় অধ্যাপক কিন্তু অভিনেতা নাট্যনির্দেশক এবং গড়িয়া কৃষ্টি নাট্যদলের কর্ণধার। মা সুপর্ণাও মঞ্চের অভিনেত্রী। আন্তিগোনে, তুঙ্গভদ্রার তীরে, কালপুরুষ প্রভৃতি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি সংসারও সামাল দেন। ব্যাকস্টেজে কাজ করতে ভালবাসেন। গান্ধর্বীর দাদা অভিজ্ঞান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার পাশাপাশি গড়িয়া কৃষ্টির নির্ভরযোগ্য অভিনেতা।
সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে পাড়ায় নববর্ষে, পুজোয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া শুরু। ২০১৫ সালে “তাসের দেশ ” নৃত্যনাট্য দিয়ে সচেতনভাবে সংস্কৃতি চর্চায় পা রাখা। পাড়ার বড় মঞ্চে পরে তাসের দেশ থেকেই মূলত গান্ধর্বীর অভিনয়ে আগ্রহ বাড়ল। ২০১৭ থেকে নানা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছে। ছোট থেকেই ভারতনাট্যম শিখত। তাসের দেশে রাজপুত্র হয়ে মঞ্চে নামা এবং ২০১৮ তে গড়িয়া কৃষ্টি প্রযোজনায় তুঙ্গভদ্রার তীরে নাটকে বিদ্যুৎমালা চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরল অভিনেত্রী হিসাবে। ছোট থেকেই অনেক কিছুর প্রতি আগ্রহ থাকলেও অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর তার মনে হয়েছিল সে মনের মত আঙিনাটা খুঁজে পেয়েছে। থিয়েটারের জন্যই স্নাতকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও তা গ্রহণ করেনি। এম বি এ পড়ার সময়ে বাইরের কলেজে সুযোগ পেয়েও যায়নি, শুধুমাত্র কলকাতায় থেকে থিয়েটার করবে বলে। থিয়েটারই তার কাছে এখন জীবনের প্রথম পছন্দ।
অভিনয়ের পাশাপাশি কৃষ্টির সব কাজের সঙ্গেই সে যুক্ত রাখে নিজেকে। সংগঠন থেকে রিকুইজিশন, কস্টিউম এমনই অনেক দায়িত্ব তার কাঁধে। আর অভিনয় তো আছেই। পড়ার চাপের জন্য থিয়েটারের কোন ডিগ্রীলাভ না হলেও প্রতি মুহূর্তে থিয়েটার তার হৃদয় জুড়ে। নান্দীকার,পঞ্চম বৈদিক সহ পার্থপ্রতিম দেব, পঙ্কজ মুন্সী, কৌশিক চট্টোপাধ্যায়, অদ্রিজা দাশগুপ্ত প্রমুখের কাছে থিয়েটারের পাঠ নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নির্দেশক হিসেবে পেয়েছে বাবা সিতাংশু খাটুয়া সহ পঙ্কজ মুন্সী, অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য, মালা রায় প্রমুখদের। জীবনের বিষম যন্ত্রণার মুহূর্ত গেছে করোনার সময়ে। থিয়েটার করতে না পারার কষ্টের কথা মনে পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। যখন সব বন্ধ, সকলে একা-একা জীবন কাটাচ্ছে ঘরে বসে। মোবাইল একমাত্র সঙ্গী। সারাদিন শুয়ে-বসে জীবন। টিভিতে কাগজে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল মৃত্যুর খবর। সব যেনো শেষ হয়ে আসছে বাঁচার আর কোনো সম্ভাবনা নেই! আর কোনদিন বোধহয় মঞ্চে ওঠা হবে না! কারণ দেখবে কে? কে এই অতিমারির মুখোমুখি হবে? তারপর ধীরে ধীরে সব শান্ত হয়ে এলো। একনিশ্বাসে বলে থামতে হলো ওকে। ঘন হয়ে আসা মেঘের মতো মুখে ক্রমশ হাসি ফিরে এলো দেখলাম। পরমুহূর্তেই জানাল থিয়েটার ছেড়ে বাঁচার কথা ভাবতেই পারে না সে। থিয়েটার নিজেকে চিনতে শিখিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে। বর্তমানে থিয়েটার আর পড়াশুনো দুটোই জোরকদমে চলছে। দুটো জগৎকেই ধরে রাখার ইচ্ছে। পেশাগত একটা জীবন আর থিয়েটারের জীবনকে একসঙ্গে মিলিয়ে বাঁচতে চায় গান্ধর্বী।
থিয়েটারে এতগুলো বছর, এতগুলো চরিত্র করা হয়ে গেলেও মাধুকরী নাটকের কুর্চি চরিত্রটার প্রতি তার একটা বিশেষ ভাল লাগা আছে, থাকবেও। ব্যক্তিগত জীবনে সে ফিনান্স জগতের মানুষ হলেও থিয়েটার বাদ দিয়ে কিছু নয় – এটা তার স্পষ্ট উচ্চারণ। দলের রিহার্সালে অনেক শিখেছে সে, বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে তৈরিও করেছে। পরিবারে সবাই থিয়েটারের হলেও এটা তার ভালবাসার পৃথিবী। তাসের দেশ ছাড়াও কাঞ্চনমালা ও আন্তিগোনে নাটকে নাম ভূমিকায় এবং তুঙ্গভদ্রার তীরে (বিদ্যুৎমালা), ফলসী চড়ার উপাখ্যান, কালপুরুষ(ঊর্মি), মাধুকরী(কুর্চি) নাটকে অভিনয় করেছে। আর গর্ভধারিণী নাটকে জয়িতাই যেনো গান্ধর্বী, গান্ধর্বীই জয়িতা। এই নাম, সুনাম জীবনের অন্য কোনো মাধ্যমে সরাসরি এনে দেবে কিনা তা জানা নেই — স্পষ্ট জবাব। আরও বিষয়ে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছে তা হলো আবৃত্তিচর্চা। “কালপুরুষ ” নাটকে তার কণ্ঠের আবৃত্তিপাঠ নাটকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। এই প্রেরণার পেছনেও আছেন বাবা সিতাংশু খাটুয়া। তাঁর কাছেই আবৃত্তি শিক্ষা। হাজারো মায়াজাল, রঙিন চ্যানেলের হাতছানি টাকার লোভ সবারই হয় তবু থিয়েটার তার কাছে সৌখীনতা নয়, ভালবাসার পৃথিবী। শ্রুতিনাটক,শর্ট ফিল্মেও গান্ধর্বী যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। কিন্তু থিয়েটার বাদ দিয়ে কিছু নয়।
এগিয়ে চলুক গান্ধর্বীর থিয়েটার যাপন।অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
Give your best from your heart , success will certainly come.
Best wishes for your upcoming theater.
জয় হোক। নতুন নাট্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Theater joy hok sarboda…
Anek anek shuvechya..
অফুরান শুভেচ্ছা, গান্ধর্বী।
থিয়েটারের জয় হোক।
শুভেচ্ছা রইলো ❤️
Ηellо аll, guyѕ! Ι knоw, my meѕsage maу be too sресifіс,
Βut my ѕister fоund nіcе mаn here аnd thеy marrіеd, sо hоw abоut mе?! 🙂
Ι am 27 уеаrs оld, Μaria, from Rоmаniа, I know Εngliѕh аnd Gеrmаn languаges аlѕо
Αnd… I have sрecific dіѕеаѕе, nаmed nуmphomanіa. Ԝho know what іѕ this, cаn underѕtаnd mе (bеttеr to ѕaу it immеdіatеlу)
Ah yes, Ι соok very taѕtу! аnd I lovе not only cоok ;))
Im real gіrl, nоt рroѕtitute, аnd looking fоr ѕerіоus and hot rеlаtіоnshiр…
Anywаy, уou сan fіnd mу рrofіle here: http://pulseiprophoc.ga/user/17418/