অশোকনগর নাট্যমুখ পরিচালিত
সাপ্তাহিক ওয়েবজিন অমল আলো জার্নাল
৪৬ তম সংখ্যা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সম্পাদক – অভি চক্রবর্তী
নির্বাহী সম্পাদক – অসীম দাস
১ সেপ্টেম্বর অশোকনগর নাট্যমুখ এর জন্ম দিবস। এ বছর ২৩ তম জন্মদিন পালন করল অমল আলোতে। সারাদিন ধরে হৈচৈ আনন্দ অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই সেজে উঠেছে নাট্যমুখ অফিস, অমল আলো বহিঃপ্রাঙ্গণ। বিকেলে বৃক্ষরোপণ দিয়ে শুরু আর শেষ হয় খাওয়া দাওয়া হাসি ঠাট্টা গান নাচ কবিতা মজা স্মৃতিচারণ দিয়ে। সঞ্চালিকা হয়ে উঠে আসা অমর্ষির অভিনয় প্রেম বড়ই মধুর হয়ে উঠেছে দিনদিন । কথা বলার স্বাধীনতা আমরা আদায় করতে পেরেছি। সবাইকে সমান অধিকার দিয়ে দল এগিয়ে চলুক এভাবেই আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে।
দলে এই মুহূর্তে সদস্য সংখ্যার নিরিখে নারী শক্তি বেশি ঋতবান। একসময় মেয়ের অভাবে নারী বর্জিত নাটক দিয়ে শুরু করতে হয়েছিল প্রযোজনা ‘মল্লভূমি ‘ । দলে প্রথম নারীর আবির্ভাব ঘটে ‘প্রভু ভৃত্য সংবাদ’ নাটকে সঙ্গীতা সরকার চক্রবর্তীর হাত ধরে। তারপর একে একে অনেকেই এসেছেন, ভালোবেসে আসছেন, থাকছেন, অভিনয় করছেন। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রদের সংখ্যা দলে এই মুহূর্তে তাও কম নয়, প্রায় সাত আট জন। ইতিমধ্যে স্নাতক হয়েছেন দুজন। এ ভারী গর্বের, অহংকারের দিন আমাদের। আমরা যারা এই দল শুরু করেছিলাম তারা কেউ কোনো নাট্যশিক্ষায় ডিগ্রিধারী ছিলাম না। নাট্য অ্যাকাডেমিক আমাদের বড়দের কোনো সেই অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজপত্র নেই। ভাবতে ভালো লাগে এত ডিগ্রি কোর্সের পাশাপাশি থিয়েটার কে পাঠ্য করে শিক্ষিত অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে নতুন জেনারেশন। একসময় আমরা দাবি তুলেছিলাম বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে থিয়েটার কোর্স চালু হোক। উচ্চবিদ্যালয়ে না হলেও বেসরকারি ভাবে অভিনয় শেখার পাঠশালা বসছে অমল আলোতেও। যার তত্বাবধানেও সেই নারী, অধ্যক্ষা সঙ্গীতা। আমাদের পাশেই গোবরডাঙ্গায় শিল্পায়ন নাট্যবিদ্যালয় ডিগ্রি কোর্স শুরু হয়েছে। সেখানেও নেতৃত্বে দীপা ব্রহ্ম।
নাট্যমুখ এ শিশুকিশোর প্রযোজনাতেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ভিড় বেশি। থিয়েটারকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে। মহিলা নির্দেশক সঙ্গীতা এ বছর একটি প্রযোজনা তৈরি করেছেন রবীন্দ্রনাথ অনুপ্রাণিত ‘মারের সাগর পারি দেবো ‘।এই প্রযোজনাটিতেও নারীর সংখ্যা ১১জন। এমনকি মঞ্চে যিনি বাঁশি বাজান তিনিও একজন নারী। চারিদিকে নারীর জয়জয়কার। নারী বাঁচানোয় সরকারি প্রকল্পও কম নেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের উর্ধতন প্রশাসনিক পদে আসীন নারী। তবুও দেশের প্রান্তরে মেয়েকে বিয়ে দিতে যৌতুক দিতে হয়, ধর্ষিতা হতে হয় রাতের অন্ধকারে! কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ঘোষণা করতে হয়, আজও সরকারকে বলতে হয় বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও!
আমাদের আশা আর আকাঙ্ক্ষার মাঝে কোনো সীমানা নেই, দেয়াল রাখতে চাইনা, বলতে চাই এক আকাশ অর্ধেক নারী।
থিয়েটারের জয় হোক।
অত্যন্ত জরুরি কাজ। অসীম দাসের নির্বাহী সম্পাদনায় তরতর করে এগিয়ে চলেছি আমরা।
নাট্যমুখের জয় হোক❤️