“এক পাটি পায়ে থাক,
অন্য খানি ছুঁড়ে মারো নিরপেক্ষ … মুখে ”
হু হু করে বেড়েই চলেছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। যা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সামনেই পুজোর মরশুম। এখন থেকেই সংক্রমণে লাগাম টানা সম্ভব না হলে আগামী দিনে করোনার দাপট আরও বাড়বে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে দেশে যে কোন মুহূর্তেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। সাবধানতা বাণী শোনাতেও আমরা কোথায় সচেতনতা অবলম্বন করছি! নাটকে বুস্টার ডোজের কথা!
ভারতের প্রথম আদিবাসী জনজাতির ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। তিনি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা ও প্রাক্তন রাজ্যপাল। জন্ম ২০ জুন ১৯৫৮ ময়ুরগঞ্জ, ওড়িশা। আমাদের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।
শিক্ষার নামে বেসাতি! কাড়ি কাড়ি টাকা। মাটি খুঁড়লে টাকা, খাম খুললে টাকা, দেয়াল ভাঙলে টাকা! সম্পত্তি করে শত্রু হলেন মানুষের কাছে। সত্য প্রমাণ হলে জনরোষ কোথায় পৌঁছবে জানা নেই। ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’…
স্বপ্নের ডানায় চড়ে ২২ বছরে পদার্পণ স্বপ্নচর
গোবরডাঙ্গা স্বপ্নচর, যাঁরা থিয়েটারের স্বপ্নে নিজেদের ডুবিয়ে বাইশটা বছর পেরিয়ে এলেন। শুরুটা সেই ৯ জুলাই ২০০০ সাল। ওঁরা মানে মহঃ সেলিম, ওরা মানে গোবরডাঙ্গার নতুন নওজোয়ানের দল স্বপ্নচর। প্রথম স্বপ্ন দেখার দিনের জানতে চাইলে মহঃ সেলিম জানিয়েছেন যে বড়দের নাটক দেখতে দেখতে মনের মধ্যে আন্দোলিত হওয়া একদল তরুণ তুর্কীর মনে হলো তাঁরাও স্বপ্নে বাস করবে, তাঁরাও থিয়েটারে অঙ্গীকারবদ্ধ হবে। প্রমথনাথ বসু মেমোরিয়াল হলের বাইরে দাঁড়িয়ে জন্মলাভ হলো এবং বাস্তবতার হাত ধরে চজ ২২ পূর্ণ।
কৈশোর কালের সেই মুহুর্তের উত্তেজনা হয়তো আর ফিরে পাবেনা। হয়তো অনেক বন্ধু পথ ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন অনেক বন্ধু এসেছেন হাতে হাত মেলাতে, পথের ধর্ম মেনে। নবনির্মিত ওই পৌর টাউন হলেই আগামী ১৪ অগাস্ট , রবিবার সন্ধ্যা স্বপ্নচর মিলিত হবে। নাটক থাকবে বর্ধমান তেপান্তর নাট্যগ্রাম এবং আমরা এর ‘নীল পিরীতের ফুল ‘ ও স্বপ্নচরের ‘টুনটুনিলো’। ওঁদের স্বপ্ন পূরণ হোক। বাইশ থেকে বিয়াল্লিশ হয়ে ফিরে আসুক বারবার। শুভ কামনা রইলো।
“কবে যে কোথায়, জীবন জুয়ায়”… হেরে গেলেন বিশিষ্ট গজল সঙ্গীত শিল্পী ভূপিন্দর সিং। ৮২ বছর বয়সে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন বহুদিন। এরই মাঝে ১৮ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুরের সাগর থেকে বিদায় নিলেন গায়ক।
চির ঘুমে সিউড়ির অভিনেতা স্বপন
গত ১০ জুলাই অপরাহ্নে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন সিউড়ী তথা বীরভূমের প্রবীণ বলিষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা স্বপন (শ্যামা) বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৬৮ সালে ‘থিয়েটার অভিযান’-এর ‘অৰ্ঘ্য’ নাটকে প্রথম অভিনয়। নাটক মহলে পরিচিতি অবশ্য নভেন্দু সেনের ‘নয়ন কবীরের পালা’ নাটক থেকে এলাকায় জনপ্রিয় স্বপন। এছাড়া আজকের আলাদিন, দানসাগর, গুলশন, মারীচ সংবাদ, উদ্বাস্তু, ঢোলিয়া, কুড়োরাম কথা রেখেছে, সত্যদাস, ক্ষেতজননী, ছেঁড়া তমসুক, বিষ, কালাচাঁদের মেলা, এবার রাজার পালা প্রভৃতি প্রযোজনাগুলি তাঁর অনন্য অভিনয়ে অন্যমাত্রা পেয়েছে। সিউড়ী ছেড়ে সোদপুরের বাসিন্দা ছিলেন সম্প্রতি। এমন দরাজ, উদার খোলা মনের হাসিখুশি মাখা নাট্যজনকে হারিয়ে গোটা জেলা সহ নাট্যমহল শোকাহত।
তাঁ আত্মার শান্তি কামনা করি।
বাহ। দারুণ দারুণ