নিজস্ব প্রতিবেদন :
১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে বেহালা অনুদর্শীর আয়োজনে ছিল”বহুরূপী”নিয়ে একটি আলোচনাচক্র ও অন্তরঙ্গ নাটক। অনুদর্শীর পক্ষে সুমনা চক্রবর্তী জানালেন, এই কলকাতায় বহুরূপী নিয়ে একটি আলোচনার আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। বীরভূমের একটি গ্রামে বেশ কিছু বহুরূপী এই বৃত্তির সঙ্গে যুক্ত। তাই বহুরূপী নিয়ে কাজ করেছেন বীরভূমের এমন তিন সম্মাননীয় নাট্যজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তা হিসাবে।
আলোচনার সূত্রপাত করেন সাঁইথিয়া আসরনাট্যম দলের নির্দেশক বিজয়কুমার দাস। তিনি বহুরূপীদের উৎস থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য সহযোগে বহুরূপীদের বেঁচে থাকার লড়াই নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখলেন। পরবর্তী বক্তা আত্মজ নাট্যদলের মুকুল সিদ্দিকি তাঁর বক্তব্যে জানালেন, তিনি বহুরূপীদের জীবনকথা নিয়ে অতনু বর্মণের লেখা “অরূপকথা ” নাটক নির্মাণ করে শতাধিক রজনী অভিনয় করেছেন। এই নাটক নির্মাণের জন্য বীরভূমে “বহুরূপীদের গ্রাম ” বলে চিহ্ণিত শীতলগ্রামে গিয়ে বহুরূপীদের জীবন যাপন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে নাটকটি নির্মাণ করেছেন। বহুরূপীরাও সেই নাটক দেখেছেন কেউ কেউ। শেষ বক্তা জেলার ক্ষেত্র গবেষক ও “বাংলার বহুরূপী” গ্রন্থের লেখক, তাঁর সমৃদ্ধ ভাষণে বহুরূপীদের অতীত ও বর্তমান নিয়ে নানা তথ্য সহযোগে বললেন, আধুনিকতার দাপটে আজকের বহুরূপীরা যেমন বৃত্তি বদলাচ্ছেন তেমনি লোকশিক্ষার এই মাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের বহু জেলাতেই বহুরূপীরা আছেন বলে তিনি জানালেন।
আলোচনাচক্রের শেষে বেহালা অনুদর্শী পরিবেশিত ও সুমনা চক্রবর্তী নির্দেশিত অভিনীত “কৃষ্ণকলি” নাটকটি সকলের প্রশংসা অর্জন করে।